হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সকল মহাসড়ক থাকবে সম্পূর্ণ চাঁদাবাজমুক্ত করা হবে । কুমিল্লায় হাইওয়েতে কোন প্রকারের চাঁদাবাজি কোনমতেই বরদাশত করা হবে না। দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন খ্যাত এ মহাসড়কে কোন যানবাহন থেকে কোন চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। তিনি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের উদ্যোগে পুলিশ অফিস সম্মেলন কেন্দ্রে মাসিক কল্যাণ ও হাইওয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সভায় এ কথা বলেছেন।
সভায় তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার,কুমিল্লা-সিলেট,কুমিল্লা-নোয়াখালী,কুমিল্লা-চাঁদপুর,ফেনী-নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭৮৯ কিলোমিটার সড়কে কোন যানবাহন থেকে পুলিশ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নামে কোন প্রকার চাঁদাবাজী করতে দেয়া হবে না। চাঁদাবাজির সাথে হাইওয়ে পুলিশ অথবা চক্রের যেই জড়িত থাকুক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সবাইকে সতর্ক করেন। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা শেষে পুুলিশ সুপার সাংবাদিকদের একথা বলেন। চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া মাত্র জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সভায় উল্লেখ করেছেন। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ আরো জানান, মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধ ও সড়কে যান চলাছল স্বাভাবিক রাখতে ৩৪ টি মোবাইল পেট্রোল ও ২২ টি কুইক রেসপন্স টিম এবং একাধিক গোয়েন্দা টিম কাজ করবে রমজান মাসব্যাপী। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন ও হতাহতদের দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণের জন্য ৫ টি রেকার ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সভায় পুলিশ সুপার সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগের দাউদকান্দি থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যানবাহনে যেন চাঁদাবাজি বন্ধ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন রাখতে রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ,সার্কেল এএসপিগণ ও ২২ টি হাইওয়ে থানা/ফাঁড়ির ওসি এবং আইসিদের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সভায় হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তাদের মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা ও মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তৎপর থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা প্রতিপালনে শৈথিল্য দেখালে বিভাগীয়সহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। হাইওয়ে পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, সুনিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী কোন যানবাহন থামানো যাবে না। মহাসড়কে কোন প্রকার চেকপোস্ট করা যাবে না। এসময় পুলিশ সুপার নিজেই প্রতিদিন মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও সার্বিক তদারকির ঘোষণা দেন।