স্ক্রিপ্ট✅
কুবিতে প্রকােশ্য হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন
হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি থেকে।।
ছাত্রলীগের তিন নেতার উপর প্রকাশ্যে হামলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদ্য বিলুপ্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ দফা দাবিগুলো হলো - হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো: সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান পূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীদের দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রতিকী প্রতিবাদ মিছিল হবে, আগামী ১২ মার্চ ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্র এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে এবং অন্য সকল দাবী পূরণের নিমিত্তে মানববন্ধন এবং উপাচাযর্কে স্মারকলিপি প্রদান, আগামী ১৩ মার্চ সোমবার বিক্ষোভ মিছিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উল্লেখিত দাবী আদায় পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচী থাকবে।
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ওমর সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানানতকালকে তাদের উপর হামলা নিয়েই মূলত তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। তারা মূলত সবকিছুকে ঘিরেই প্রক্টেরকে তীর দিচ্ছে। তারা আমাকে ইন্ধন দাতা হিসেবে দেখছে। কিন্তু সেটা তাদের প্রমাণ করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন সাংবাদিকদের জানান, আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি সে বিষয়ে ব্যাবস্থা নিব। কোন ছাত্র যদি অপকর্ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।
তবে এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের জানান, আমি গতকাল রাতের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছিলাম, চেষ্টা অব্যাহত আছে। অতি শীঘ্রই হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৮ মার্চ দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিসমিল্লাহ কনফেকশনারীর সামনে শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত আসামী বিপ্লব চন্দ্র দাস, সাবেক শিক্ষার্থী ইকবালসহ ১২-১৫ জনের হামলায় গুরুতর আহত হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান হৃদয়, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান।