নিজস্ব সংবাদদাতা,দাউদকান্দি॥কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী। যার ফলে মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার(৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমিরাবাদে বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করে। সড়ক অবরোধদের খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন,তাদের দাবিদাবা শোনেন, পরে তাদের আশ্বস্ত করা হলে ১ ঘন্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, বরকোটা স্কুল এন্ড কলেজে সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত করার দাবীতে আমরা সড়কে নেমেছি। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাব্বির আহাম্মেদন শুভ ও জুবায়ের বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। বিভিন্ন অনিয়ম করে। কলেজের লাইব্রেরি দখল করে। তাকে আইনের আওতায় আনা হোক। কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী জিহাদ ভূঁইয়া, ফয়সাল ও মিনহাজ বলেন, আমরা সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। আমরা লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ চাই।
দাউদকান্দি উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুর আমিন বলেন, আমাকে হ্যায় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি স্কুলের সভাপতি প্রাথী হয়েছি এটাই আমার অপরাধ। আমি কোন লাইব্রেরি দখল করিনি। এটা আমাদের ছিলো, আমরা নিয়মিত ভাড়ার টাকাও দিয়ে আসছি। কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হলে সঠিক হিসেব নিবো। এজন্য আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি এটার নিন্দা জানাই।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, সড়ক অবরোধ হয়েছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। অবরোধের ফলে ঢাকা মুখী লেনে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে, অবরোধ তুলে নিলে হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদেরকে আস্বস্ত করেছি। কলেজে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলতে দেয়া হবেনা। পরে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রুহুল আমিন নামের এক বিএনপি নেতার নাম এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে বিএনপির স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের অবহিত করবো। এবং ওই ব্যক্তির নামে লিখিত অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।