মো:ওমর ফারুক মুন্সী
আওয়ামীলীগের প্রশ্নে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে ফিরবে কি ফিরবে না সেটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে গত ৫ আগস্ট। আওয়ামীলীগ যদি কখনই ফিরতো তাহলে শেখ হাসিনাকে দেশ চলে যেতে হতো না, পৃথিবীতে এমন কোন ইতিহাস নেই কোন ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে সেটা আর ব্যাক করেছে বরং যেটা হয়েছে ফ্যাসিবাদ থেকে যারা উৎখাতিত হয়েছে তারা ক্রমশ ইতিহাসে নিগৃহিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে তাদের পরিবাররের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
জার্মানের নাজি পার্টি ও মুসোলিনি পার্টির উদাহরণ দিয়ে হাসনাত আরও বলেন, নাজি পার্টি ও মুসোলিনি পার্টি যে ক্যাটাগরির এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগও সেইম ক্যাটাগরির, এই আওয়ামীলীগের বাংলাদেশে বিচার নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে বা পরে আর কোনভাবে ফেরার সুযোগ নেই।
একই দিন বিকালে অপর একটি সভায় হাসনাত বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা চাই এই ফ্যাসিবাদ যেন অন্য কোন ফর্মে পুনর্বাসিত না হতে পারে। ফ্যাসিবাদ বিভিন্ন ফর্মে আসতে পারে ফ্যাসিবাদ আপনার স্কুলেও থাকতে পারে, সমাজ কাঠামোতেও থাকতে পারে, অর্থনৈতিক কাঠামোতেও থাকতে পারে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান যেন আর কোথাও না হতে পারে এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
হাসনাত আরও বলেন, ফ্যাসিবাদি আচরণ যে কারও মাঝে থাকতে পারে, এটা এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের হতে পারে, নাহিদও হতে পারে, সারজিসও হতে পারে এটা হাসনাতও হতে পারে যে কেউ হতে পারে এই ফ্যাসিবাদের পুনঃবহি:প্রকাশ যাতে আর না হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই তরুণ প্রজম্ম কিছু বলতে চায় তাদেরকে বলতে দিতে হবে না বলাার কারণে ওদের ভিতর যেন ক্ষোভ সৃষ্টি না হয়, তাদেরকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছি এই নতুন বাংলাদেশ গড়ব সবাইকে নিয়ে।
ইউএনও নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. শাহীন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিন, দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শাহিনুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে দেবিদ্বার মাজেদা আহসান মুন্সী গণপাঠাগারে ৭০০ বই উপহার দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এসময় কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন তিনি।