গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং।।
ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গরুর হাটগুলো জমে উঠেছে। দামে পড়তা হোক বা না হোক হাতে আর সময় নেই। তাই ভালো দেখেই গরু কিনতে হবে পরিকল্পনা বাদ দিয়ে গরু কেনাতে ব্যস্ত ক্রেতারা। এ কারণে উপজেলার গরুর হাটগুলোতে দেশি- বিদেশি প্রজাতির সব ধরনের কোরবানির গরু বেচা-কেনা এখন তুঙ্গে।
দেশি-বিদেশি মিলে গরু বেচা-কেনা বেশ ভালোই। সব মিলিয়ে গরু পালনকারী চাষি খামারি এবং ক্রেতারা খুশি। ক্রেতাদের পছন্দমতো গরু দামে পড়তা হচ্ছে এবং বিক্রেতারাও গরু বিক্রিতে লাভ করছে। গতকাল (১৪ জুন) শুক্রবার বুড়িচং উপজেলার ২ নং বাকশীমূল ইউনিয়নের কালিকাপুর বাজারে গরুহাটে এমন চিত্রই চোখে পড়ল। বেচা-কেনায় ব্যস্ত চাষি-খামারিরা কথা বলার মতো ফুসরত নেই। তার পরও খামারি রফিকুল ইসলাম বেশ খোশ মেজাজে জানালেন, আমার ৫ টি গরু, একটি প্রায় তিন লাখ টাকায় এই মাত্র বেচে দিলাম। লাভ মোটামোটি ভালোই হয়েছে। এখন ছোট বড় ৪ টি বিক্রি করতে পারলেই শান্তি।' এমন অনেকেই কৃষক-খামারিরা জানালেন তারা ভালো দামে গরু বিক্রি করেছে। বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর এলাকার কৃষক ও মিনি খামারি সামসু মিয়া জানান, এবার চারটি গরুতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। কিন্তু গত বছর এমন লাভ পাইনি। এবার দেশি গরুর চাহিদা অনেক। হাটে গরু কিনতে আসা মনির হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য গরু কিনতে এসেছি। এ বছর গরুর দাম অন্যবারের তুলনায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশি মনে হচ্ছে। যেহেতু কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেশ কয়েকজন গরুর ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিবছরই এ হাটে আসি। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার গরুর আমদানি বেশি। তবে দামও একটু বেশি। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল করিম ও সদস্য মোঃ লিটন রেজা বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় একাধিক গরু- ছাগলের হাট বসেছে। পর্যাপ্ত দেশি ও বিদেশি গরু এবং ছাগল রয়েছে। আমাদের এলাকা সীমান্তবতী হলেও ভারতীয় গরু আসা সম্ভব হয়নি। এতে করে দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে করে গরু ছাগল পালনকারীরাও খুশি ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার বলেন, উপজেলায় কোরবানি উপযোগী অনেক গরু ছাগল উৎপাদন করেছেন খামারিরা। তিনি জানান,বিভিন্ন পশুহাট ও খামারগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। খামারিদের পালন করা পশু এলাকা ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন জায়গার চাহিদা পূরণ করবে খামারিরা । এবার কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য পাবেন। আমরা বিভিন্ন বাজারে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম নিয়োজিত রেখেছি।
এদিকে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাহিদা আক্তার জানান,পশুহাটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম কাজ করছে। গরুর হাটে জাল নোট ও অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের ঠেকানোর জন পুলিশের নজরদারি রয়েছে।